Posts
18 Dec, 2019
‘দ্যা আর্ট অব দ্যা ওয়ার’-এর কারণে চৈনিক সমরবিদ মহামতি সানজুকে আমরা এখন অনেকেই চিনি। দুনিয়ার তাবৎ সামরিক আকাদেমিতে এই বই পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়। আর পড়ানোও উচিত। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত এই বইয়ের কলাকৌশলগুলো আজকের দিনেও অত্যন্ত উপযোগী। কিন্তু আমরা কি কখনোও ভেবে দেখেছি, প্রায় একই সময়ে (খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৩ অব্দ) আমাদের এই ভারতবর্ষেও এমন একজন মানুষ ছিলেন যার সমরকৌশল, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিতে অসামান্য পান্ডিত্য ছিল। তিনি হলেন আচার্য চাণক্য। প্রাচীন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির অধ্যাপক চাণক্য ছিলেন মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের রাজ-উপদেষ্টা। তার রচিত চাণক্য নীতি বইয়ে তিনি পররাষ্ট্রনীতি ও সামরিক কৌশল সম্পর্কে বিশদ আলোশনা করেছেন। আর ‘শাম দাম দন্ড ভেদ’ এই বইয়ে বর্ণিত একটি সূত্র। যদি কখনো কোন লোককে দিয়ে কোন কাজ করানোর প্রয়োজন হয় তখন এই সূত্র অনুসরণ করা হয়।
11 Dec, 2019
আমার ব্যাচেলর জীবনে ২-মিনিটে নুডুলস রান্না করতে পেরেছি কিনা, আমি জানিনা। কিন্তু ২০-মিনিটে বাঁধাকপি ভাজি আমি অনেক করেছি। অনেকটা “ধর তক্তা, মার পেরেক” টাইপের রেসিপি এটা। পাতাকপি ভাজিতে উপকরণ লাগেও কম। পাতাকপি চিনলেন না? আমাদের অঞ্চলে এই জিনিস পাতাকপি নামেই বেশি প্রসিদ্ধ। ঢাকাতে অবশ্য স্মার্ট মানুষজন একে গ্রীন ক্যাবেজ বলেও ডাকে। সে, যাই হোক - যাহাই বাহান্ন, তাহাই তেপ্পান্ন। উপকরণ প্রমাণ সাইজের একটা বাঁধাকপি (না কচি, না বুড়া) আধা চা-চামচ হলুদের গুড়া (বেশি হলে তিতা লাগে) পরিমাণ মত লবণ পরিমাণমত সরিষার তেল (আমি সয়াবিন তেল খাই না!
13 May, 2019
কার্প কোন একক মাছ নয়, বরং মাছের গ্রুপ। এই গ্রুপে আবার দুই ধরনের সদস্য আছে: দেশি ও বিদেশি। দেশি কার্পের ভিতর রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস জনপ্রিয়। অন্যদিকে বিদেশি কার্পের ভিতর সিলভার কার্প ও গ্রাস কার্পই বেশি জনপ্রিয়। আজ আমরা এই কার্প জাতীয় মাছগুলোকে রান্না করার একটা জেনেরিক রেসিপি সম্পর্কে জানব। উপকরণ ৭৫০ গ্রাম কার্প মাছ (টুকরো-টুকরো করে কাটা) এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া দুই চা চামচ মরিচের গুঁড়া হাফ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়া পরিমাণ মত লবণ পরিমাণ মত সরিষার তেল পরিমাণ মত পানি চারটা দেশি পেঁয়াজ কুঁচি দুইটা দেশি রসুন কুঁচি তিন-চারটা কাঁচা মরিচ কুঁচি আমি সবকিছু আমার হিসেব করে বললাম। আপনি চাইলে যেকোন পরিমাণের মাছ একসাথে রান্না করতে পারেন আর হলুদ-মরিচ-লবণ-তেল খুশিমত খরচ করতে পারেন।
12 Feb, 2019
‘সহজ ভাষায় পাইথন ৩’ বইটি নিয়ে প্রায়শই কিছু মধুর প্রশ্নের সম্মুখীন হই। দিন দিন (আমার প্রতি) মানুষের ভালবাসা যেভাবে বাড়ছে, প্রশ্নও সমানুপাতিক হারেই বাড়ছে। আসলে যে কারোর মনেই এরকম প্রশ্ন আসা বেশ স্বাভাবিক। কিন্তু একই প্রশ্নের উত্তর বারবার দিতে কেমন জানি লাগে আমার। নিজেকে হোয়াইল লুপের অধিবাসী মনে হয়। তাই ভাবলাম, এসব মধুর প্রশ্নের সুমধুর উত্তরগুলো সজিপ্র (সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন) সেকশনে লিখে রাখা যাক। (১) প্রশ্ন: সি নাকি পাইথন? কোনটি দিয়ে শুরু করব?
8 Sep, 2018
একদিন একজন মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট প্রিন্সিপল’ পড়াচ্ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীতে পরিপূর্ণ অডিটোরিয়ামের মঞ্চে উঠে তিনি একটা পানির গ্লাস উঁচু করে ধরলেন। সবাই ভাবল, অধ্যাপক তাদেরকে চিরাচরিত “গ্লাস অর্ধেক খালি নাকি ভর্তি” প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করবেন। কিন্তু অধ্যাপক হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন, “আমি যে পানির গ্লাসটা ধরে আছি এটার ওজন কত হবে?” ছাত্র-ছাত্রীরা চিৎকার করে উত্তর দিল, আট আউন্স থেকে কয়েক পাউন্ড হতে পারে। অধ্যাপক উত্তর দিলেন, “আমার পরিপ্রেক্ষিতে, এই গ্লাসের সঠিক ওজন কোন ব্যাপার না।বরং আমি কতক্ষণ এটা ধরে আছি তার উপর নির্ভর করে। যদি আমি এটাকে এক বা দুই মিনিটের জন্য ধরে থাকি, তাহলে এটা মোটামুটি হালকা। যদি আমি এটাকে এক ঘন্টার জন্য ধরে রাখি, তবে এটার ওজনে আমার হাতে সামান্য ব্যথা হতে পারে। যদি আমি এটাকে একদিনের জন্য ধরে রাখি, তাহলে সম্ভবত আমার হাতে খিল ধরে যাবে, অসাড় এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাব, ফলে গ্লাসটা ফ্লোরে পড়ে যাবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, গ্লাসের ওজনে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না, কিন্তু যত দীর্ঘ সময় আমি এটাকে ধরে রাখব, আমার কাছে এটা তত ভারী মনে হবে।”
1 Jul, 2018
এই বিশাল ঢাকা শহরে আমার ব্যাচেলরীয় জীবনে রূপচাঁদা এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আদর করে আমি একে হাই-স্পীডি ফিশ বলে ডাকি। সেটা অবশ্য রূপচাঁদার নিজস্ব গতির জন্য নয়। বরং দ্রুততম সময়ে রূপচাঁদা ফ্রাই করে খাওয়া যায় বলে। রূপচাঁদা ফ্রাই করা অনেকটা ধর তক্তা মার পেরেকের মত। লেটস ডু ইট! উপকরণ চারটে মাঝারি সাইজের (২৫০-৩০০ গ্রাম) রূপচাঁদা মাছ এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া দুই চা চামচ মরিচের গুঁড়া হাফ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়া দুই চিমটি লবণ এক চিমটি পাঁচ ফোড়ণ এক চিমটি মেথি পরিমাণ মত সরিষার তেল একটা দেশি পেঁয়াজ একটা ফ্রাই প্যান একটা খুন্তি একটা ছুরি আমি সবকিছু আমার হিসেব করে বললাম। আপনি চাইলে একটা-দুইটা-পাঁচটা রূপচাঁদাকে একসাথে ফ্রাই করতে পারেন আর হলুদ-মরিচ-লবণ-তেল খুশিমত খরচ করতে পারেন।
30 Jun, 2018
আমি একজন নিবেদিতপ্রাণ আমিষভোজী। তবে খাসীর মাংসই খাই আর মাছ ভাজাই খাই, সাথে একটা ভর্তা হলে জমে ভাল। সকালে রূপচাঁদা ফ্রাই করছিলাম। ভাবলাম একটা ভর্তা করা যাক। ফ্রীজেই দুটো পেটমোটা বেগুন ছিল। ও দুটোকেই খেলে দিলাম আজকে। কথায় আছে, বেগুনের অনেক গুণ। কথাটা আসলেই সত্য। জগৎ সংসারে আলু ভর্তার পর বেগুন ভর্তা বানানোই ব্যাচেলরদের জন্য বোধহয় সবচেয়ে সহজ। আর স্বাদ? আহা, মরি মরি! উপকরণ দুটো মাঝারি সাইজের পেটমোটা বেগুন চারটে শুকনা মরিচ চারটে ধনিয়া পাতা দেশি পেঁয়াজ চারটে (ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ মনে হয় একটাই যথেষ্ট) দেড় চা চামচ লবণ আড়াই চা চামচ সরিষার তেল (আমি তেল খুব কম খাই) একটা ফ্রাই প্যান একটা খুন্তি একটা বাটি বা প্লেট আমি সবকিছু আমার হিসেব করে বললাম। আপনি চাইলে একটা-দুইটা-পাঁচটা বেগুনের ভর্তা একসাথে করতে পারেন আর লবণ-মরিচ-পেঁয়াজ-তেল খুশিমত খরচ করতে পারেন।
29 May, 2018
লিনাক্সের সাথে পথচলা সাত বছর ধরে, সেই ২০১১ সাল থেকে। শুরুটা করেছিলাম ওপেনসুসে দিয়ে। আমার জীবনের প্রথম কম্পিউটার (ল্যাপটপ) HP Compaq-420’র সাথে ওপেনসুসের একটি ডিস্ক ফ্রীতে দিয়েছিল। সেটা সেটাপ দিয়েই লিনাক্সের সাথে পথচলা শুরু করেছিলাম। আর উবুন্টুর সাথে সম্পর্ক ছয় বছর ধরে, ২০১২ সাল থেকে। মাঝে অবশ্য বিভিন্ন ওএসে শিফট করেছিলাম। তবে বারবার ফিরে এসেছি উবুন্টুর কাছেই। বর্তমানে আমি উবুন্টু (Ubuntu) ১৮.০৪ এলটিএস (৬৪-বিট) ভার্সন ব্যবহার করছি। আজকে আমার প্রিয় গ্নোম এক্সটেনশন ও উবুন্টু অ্যাপগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব, কিভাবে ইন্সটল করবেন তাও বলে দেব ইনশাআল্লাহ।
25 Apr, 2018
বিশ্বাস কর মা, আমি আর কোনদিন সত্য বলব না। খায়গো বাড়ির নৌউস্যা, রক্ত জবার বাগানে, সলিমুদ্দির ছোট মেয়েটাকে রক্তাক্ত করে ফেলে; রক্ত জবা, রক্তাক্ত জবা সবকিছু একাকার হয়ে যায়, অথচ জবার চিৎকার, কারো কানেও পৌঁছায় না। আমিন মাতব্বরের সালিশে, সলিমুদ্দির কন্ঠ চাপা পড়ে যায়, শত শত হায়েনার হুংকারে; আমি ছাড়া আর কেউ, একটি কথাও বলেনি মাগো, একটি কথাও নাকো, ওরা আমাকেও স্তব্ধ করে দিয়েছে তাই। বিশ্বাস কর মা, আমি আর কখনো সত্য বলব না,
11 Jul, 2017
উবুন্টুতে ইন্সটল করুন অভ্র কীবোর্ড
একটা দীর্ঘ সময় পর, অভ্রের লিনাক্স সংস্করণের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করা হল। কয়েক বছর ধরেই সারিম ভাইয়ের এই বিখ্যাত প্রজেক্টটা কেমন জানি থমকে আছে। অনেকে বাধ্য হয়ে প্রভাতে মুভ করেছেন। আর কিছু অভ্রপ্রেমী রয়ে গেছেন সেই অভ্রতেই। কিন্তু এখন দৃশ্যপট একেবারেই ভিন্ন। উবুন্টু-১৬.০৪ রিলিজ হয়েছে মাত্র এক বছর আগেই। আর অভ্রপ্রেমীদের ইন্সটলেশান দুর্দশা কাটাতে কিছু একটা করার দরকারই ছিল। আর মধ্যবর্তী এক ব্যবস্থা হিসাবে আমরা নিয়ে এসেছি অভ্র-২.১ সংস্করণটিকে।
1/6